প্রোডাক্ট মার্কেটিং এমন একটি প্রক্রিয়া, যা প্রোডাক্টের সাফল্য নিশ্চিত করে। এটি প্রোডাক্টের বাজারজাতকরণকে আরও কার্যকর করে। প্রোডাক্ট মার্কেটিং হল প্রোডাক্টকে সঠিক গ্রাহকদের কাছে পৌঁছানোর কৌশল। এতে প্রোডাক্টের বৈশিষ্ট্য, সুবিধা এবং ব্যবহারকারীর প্রয়োজনীয়তা বোঝানো হয়। সঠিক মার্কেটিং কৌশল প্রোডাক্টের বিক্রয় বাড়াতে সাহায্য করে। এটি ব্যবসার জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। সফল প্রোডাক্ট মার্কেটিংয়ের জন্য বাজার, গ্রাহক এবং প্রতিযোগী বিশ্লেষণ করা প্রয়োজন। এছাড়াও, প্রোডাক্টের ইউনিক সেলিং পয়েন্ট (USP) নির্ধারণ করতে হয়। প্রোডাক্ট মার্কেটিং কৌশলগুলি পরিকল্পনা এবং বাস্তবায়নে সময়সাপেক্ষ হতে পারে। তবে, সঠিক পথে এগোলে এটি ফলপ্রসূ হয়। এই ব্লগে, আমরা প্রোডাক্ট মার্কেটিং সম্পর্কিত গুরুত্বপূর্ণ দিকগুলি আলোচনা করব।
Credit: www.linkedin.com
প্রোডাক্ট মার্কেটিং কি
প্রোডাক্ট মার্কেটিং কি? এই প্রশ্নের উত্তর খুঁজছেন? প্রোডাক্ট মার্কেটিং একটি গুরুত্বপূর্ণ ব্যবসায়িক প্রক্রিয়া যা প্রতিটি ব্যবসার জন্য অপরিহার্য। এটি একটি প্রোডাক্টের বাজারে প্রবেশ ও সফলতার জন্য প্রধান ভূমিকা পালন করে।
প্রোডাক্ট মার্কেটিং এর সংজ্ঞা
প্রোডাক্ট মার্কেটিং হল এমন একটি প্রক্রিয়া যা একটি প্রোডাক্টকে বাজারে সঠিকভাবে উপস্থাপন করে। এর মধ্যে প্রোডাক্টের মূল বৈশিষ্ট্য, সুবিধা ও লক্ষ্যবস্তু গ্রাহকদের কাছে পৌঁছানো অন্তর্ভুক্ত।
প্রোডাক্ট মার্কেটিং মূলত প্রোডাক্টের বাজারজাতকরণ, বিক্রয় বৃদ্ধি ও গ্রাহকদের সন্তুষ্টি অর্জনে সহায়তা করে।
প্রোডাক্ট মার্কেটিং এর গুরুত্ব
প্রোডাক্ট মার্কেটিং এর গুরুত্ব অপরিসীম। এটি একটি প্রোডাক্টকে সফলভাবে বাজারজাত করতে সহায়ক। সঠিক প্রোডাক্ট মার্কেটিং কৌশল একটি প্রোডাক্টকে বাজারে পরিচিত ও জনপ্রিয় করে তুলতে পারে।
প্রোডাক্ট মার্কেটিং এর মাধ্যমে গ্রাহকদের নির্দিষ্ট চাহিদা ও পছন্দ অনুযায়ী প্রোডাক্ট তৈরি ও উপস্থাপন করা হয়। এটি বিক্রয় বৃদ্ধি ও ব্র্যান্ড লয়্যালটি তৈরি করতে সাহায্য করে।
নিচে কিছু গুরুত্বপূর্ণ দিক উল্লেখ করা হল:
- বাজার বিশ্লেষণ
- কাস্টমার ফিডব্যাক সংগ্রহ
- প্রমোশনাল কৌশল
- বিক্রয় দলের প্রশিক্ষণ
এই প্রক্রিয়াগুলি প্রোডাক্ট মার্কেটিং এর মূল ভিত্তি হিসাবে কাজ করে।
প্রোডাক্ট মার্কেটিং এর প্রকারভেদ
প্রোডাক্ট মার্কেটিং এর প্রকারভেদ সম্পর্কে জানলে, আপনি সহজেই নির্ধারণ করতে পারবেন কোন ধরণের কৌশল আপনার ব্যবসার জন্য উপযুক্ত। প্রোডাক্ট মার্কেটিং মূলত দুই ধরণের হতে পারে: বিটুবি প্রোডাক্ট মার্কেটিং এবং বিটুসি প্রোডাক্ট মার্কেটিং। নিচে এই দুটি ধরণের প্রোডাক্ট মার্কেটিং এর বিস্তারিত আলোচনা করা হল।
বিটুবি প্রোডাক্ট মার্কেটিং
বিটুবি (B2B) প্রোডাক্ট মার্কেটিং এর লক্ষ্য হলো ব্যবসা থেকে ব্যবসায় প্রোডাক্ট বিক্রি করা। এখানে প্রধানত কর্পোরেট ক্লায়েন্ট বা বড় প্রতিষ্ঠানকে লক্ষ্য করে মার্কেটিং করা হয়।
- প্রোডাক্টের বৈশিষ্ট্য: প্রোডাক্টের কার্যকারিতা, প্রযুক্তিগত সুবিধা এবং সেবা প্রদানের দক্ষতা তুলে ধরা হয়।
- বিক্রয় প্রক্রিয়া: প্রায়শই লম্বা সময় ধরে আলোচনা এবং চুক্তি ভিত্তিক।
- মার্কেটিং মাধ্যম: লিঙ্কডইন, ইমেইল মার্কেটিং, ওয়েবিনার এবং শিল্প বিষয়ক কনফারেন্স।
বিটুসি প্রোডাক্ট মার্কেটিং
বিটুসি (B2C) প্রোডাক্ট মার্কেটিং এর লক্ষ্য হলো সরাসরি কনজিউমারদের কাছে প্রোডাক্ট বিক্রি করা। এখানে ব্যক্তিগত ক্রেতাদের লক্ষ্য করে মার্কেটিং করা হয়।
- প্রোডাক্টের বৈশিষ্ট্য: প্রোডাক্টের সুবিধা, দামের সাশ্রয়িতা এবং ব্যবহারিক প্রয়োজনীয়তা তুলে ধরা হয়।
- বিক্রয় প্রক্রিয়া: সাধারণত তাত্ক্ষণিক সিদ্ধান্ত এবং দ্রুত লেনদেন ভিত্তিক।
- মার্কেটিং মাধ্যম: সোশ্যাল মিডিয়া, টিভি বিজ্ঞাপন, গুগল এডস এবং রিটেল স্টোর প্রমোশন।
প্রকারভেদ | লক্ষ্য | মাধ্যম | প্রক্রিয়া |
---|---|---|---|
বিটুবি | কর্পোরেট ক্লায়েন্ট | লিঙ্কডইন, ইমেইল মার্কেটিং | দীর্ঘমেয়াদি আলোচনা |
বিটুসি | ব্যক্তিগত ক্রেতা | সোশ্যাল মিডিয়া, টিভি বিজ্ঞাপন | তাত্ক্ষণিক সিদ্ধান্ত |
মার্কেট রিসার্চ
প্রোডাক্ট মার্কেটিং একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রক্রিয়া। এটি প্রোডাক্টকে বাজারে সফলভাবে প্রবর্তন ও বিক্রি করতে সহায়তা করে। প্রোডাক্ট মার্কেটিংয়ের প্রথম ধাপ হল মার্কেট রিসার্চ। এটি প্রোডাক্টের জন্য সঠিক বাজার চিহ্নিত করতে সাহায্য করে।
মার্কেট রিসার্চ এর পদ্ধতি
মার্কেট রিসার্চ করার বিভিন্ন পদ্ধতি রয়েছে। নিচে কয়েকটি উল্লেখ করা হলো:
- প্রাথমিক রিসার্চ: সরাসরি গ্রাহকদের সাথে কথা বলা, সার্ভে পরিচালনা করা।
- দ্বিতীয় রিসার্চ: ইন্টারনেট, জার্নাল, রিপোর্ট ইত্যাদি থেকে তথ্য সংগ্রহ।
- প্রতিযোগী বিশ্লেষণ: প্রতিযোগীদের প্রোডাক্ট ও মার্কেটিং কৌশল পর্যবেক্ষণ।
রিসার্চ টুলস
মার্কেট রিসার্চ করতে কিছু কার্যকরী টুলস ব্যবহার করা যেতে পারে।
টুলের নাম | ব্যবহার |
---|---|
Google Trends | ট্রেন্ড এবং জনপ্রিয়তা বিশ্লেষণ |
SurveyMonkey | অনলাইন সার্ভে পরিচালনা |
SEMrush | প্রতিযোগী বিশ্লেষণ এবং কি-ওয়ার্ড রিসার্চ |
Statista | বিভিন্ন ইন্ডাস্ট্রি ডেটা এবং রিপোর্ট |
উপরোক্ত পদ্ধতি ও টুলস ব্যবহার করে, মার্কেট রিসার্চ সহজে করা যায়। এটি প্রোডাক্ট মার্কেটিংয়ের একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ।
টার্গেট অডিয়েন্স নির্ধারণ
প্রোডাক্ট মার্কেটিংয়ের সফলতার প্রধান চাবিকাঠি হলো টার্গেট অডিয়েন্স নির্ধারণ। আপনার প্রোডাক্ট কাদের জন্য, তাদের চাহিদা কি, এবং কিভাবে তারা আপনার প্রোডাক্টের সাথে সংযুক্ত হবে তা জানা জরুরী। এই প্রক্রিয়াটি করার জন্য কয়েকটি ধাপ অবলম্বন করতে হয়।
অডিয়েন্স সেগমেন্টেশন
অডিয়েন্স সেগমেন্টেশন হল আপনার টার্গেট অডিয়েন্সকে বিভিন্ন শ্রেণীতে ভাগ করা। এতে করে আপনি নির্দিষ্ট গ্রুপের জন্য নির্দিষ্ট মার্কেটিং স্ট্রাটেজি তৈরি করতে পারবেন। নিচে কয়েকটি সাধারণ সেগমেন্টেশন প্যারামিটার দেওয়া হলো:
প্যারামিটার | বর্ণনা |
---|---|
ডেমোগ্রাফিক | বয়স, লিঙ্গ, আয়, শিক্ষা ইত্যাদি |
জিওগ্রাফিক | অঞ্চল, শহর, দেশ ইত্যাদি |
সাইকোগ্রাফিক | লাইফস্টাইল, মূল্যবোধ, আগ্রহ ইত্যাদি |
বিহেবিয়োরাল | কেনাকাটা অভ্যাস, ব্র্যান্ড লয়ালটি, প্রোডাক্ট ব্যবহার ইত্যাদি |
বায়ার পারসোনা
বায়ার পারসোনা হল আপনার আদর্শ গ্রাহকের একটি কাল্পনিক চরিত্র। এটি তৈরির মাধ্যমে আপনি সহজেই আপনার টার্গেট অডিয়েন্সের চাহিদা এবং আচরণ বুঝতে পারবেন। বায়ার পারসোনা তৈরির জন্য নিচের বিষয়গুলো বিবেচনা করতে পারেন:
- ডেমোগ্রাফিক তথ্য: বয়স, লিঙ্গ, শিক্ষা, পেশা ইত্যাদি।
- ব্যক্তিগত ইতিহাস: পরিবার, ব্যক্তিগত অভ্যাস, আগ্রহ ইত্যাদি।
- চ্যালেঞ্জ এবং লক্ষ্য: তাদের প্রধান সমস্যা এবং তারা কি অর্জন করতে চায়।
- কেনাকাটার আচরণ: তারা কিভাবে এবং কোথায় কেনাকাটা করে।
আপনার প্রোডাক্টের জন্য সঠিক টার্গেট অডিয়েন্স নির্ধারণ করতে উপরের ধাপগুলো অনুসরণ করা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এতে করে আপনার মার্কেটিং স্ট্রাটেজি আরও কার্যকর হবে এবং আপনার প্রোডাক্টের গ্রহণযোগ্যতা বৃদ্ধি পাবে।
প্রোডাক্ট পজিশনিং
প্রোডাক্ট পজিশনিং হল এমন একটি প্রক্রিয়া যেখানে আপনি আপনার প্রোডাক্টকে গ্রাহকের মনে একটি বিশেষ জায়গায় স্থাপন করেন। এটি প্রোডাক্টের অনন্য বৈশিষ্ট্য এবং সুবিধাগুলো তুলে ধরে। এর মাধ্যমে প্রোডাক্টকে প্রতিযোগীদের থেকে আলাদা করা হয়। প্রোডাক্ট পজিশনিং একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ, যা প্রোডাক্টের সাফল্য নির্ধারণ করে।
ব্র্যান্ড মেসেজিং
প্রোডাক্ট পজিশনিং এর জন্য সঠিক ব্র্যান্ড মেসেজিং খুবই গুরুত্বপূর্ণ। ব্র্যান্ড মেসেজিং এর মাধ্যমে প্রোডাক্টের মূল বার্তা গ্রাহকদের কাছে পৌঁছে দেয়া হয়। এতে প্রোডাক্টের বিশেষ বৈশিষ্ট্য এবং গ্রাহকদের জন্য এর মূল্য সংযোজন বোঝানো হয়।
কী মেসেজ
কী মেসেজ হল প্রোডাক্টের মূল বার্তা যা গ্রাহকদের কাছে পৌঁছে দেয়া হয়। এটি প্রোডাক্টের অনন্য বৈশিষ্ট্য এবং সুবিধাগুলো সহজ ভাষায় প্রকাশ করে। কী মেসেজ সংক্ষিপ্ত এবং সহজবোধ্য হওয়া উচিত।
Credit: www.googleitpark.com
মার্কেটিং চ্যানেল
প্রোডাক্ট মার্কেটিংয়ের অন্যতম গুরুত্বপূর্ন অংশ হলো মার্কেটিং চ্যানেল নির্বাচন। সঠিক চ্যানেল বেছে নিলে প্রোডাক্ট দ্রুত জনপ্রিয়তা পায় এবং বিক্রি বৃদ্ধি পায়। মার্কেটিং চ্যানেল দুই ভাগে ভাগ করা যায়: অনলাইন এবং অফলাইন। নিচে এই দুই চ্যানেলের বিশদ বিবরণ দেওয়া হলো।
অনলাইন চ্যানেল
অনলাইন চ্যানেল প্রোডাক্ট মার্কেটিংয়ে খুবই কার্যকর। এই চ্যানেলগুলির মাধ্যমে আপনি অল্প সময়ে বৃহত্তর দর্শকের কাছে পৌঁছাতে পারেন।
- সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং: ফেসবুক, টুইটার, ইনস্টাগ্রাম, লিংকডইন, এবং পিন্টারেস্টের মত প্ল্যাটফর্ম ব্যবহার করে প্রোডাক্ট প্রচার করুন।
- ইমেল মার্কেটিং: গ্রাহকদের নিয়মিত ইমেল পাঠিয়ে প্রোডাক্টের আপডেট, অফার এবং নিউজলেটার পাঠান।
- সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন (SEO): প্রোডাক্ট সম্পর্কিত কিওয়ার্ড ব্যবহার করে ওয়েবসাইটের কন্টেন্ট অপটিমাইজ করুন যেন সার্চ রেজাল্টে উপরের দিকে আসে।
- ব্লগিং: প্রোডাক্ট সম্পর্কিত তথ্যবহুল এবং আকর্ষণীয় ব্লগ পোস্ট লিখুন যা গ্রাহকদের প্রোডাক্ট সম্পর্কে আরো জানাতে সাহায্য করবে।
- পেইড বিজ্ঞাপন: গুগল অ্যাডওয়ার্ডস, ফেসবুক অ্যাডস, এবং অন্যান্য প্ল্যাটফর্মে পেইড বিজ্ঞাপন দিন।
অফলাইন চ্যানেল
অফলাইন চ্যানেলও প্রোডাক্ট মার্কেটিংয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। অনেক গ্রাহক এখনো অফলাইন মাধ্যমের উপর নির্ভর করে।
- প্রিন্ট মিডিয়া: সংবাদপত্র, ম্যাগাজিন, এবং অন্যান্য প্রিন্ট মিডিয়ায় বিজ্ঞাপন দিন।
- বিলবোর্ড এবং পোস্টার: জনবহুল স্থানে বিলবোর্ড এবং পোস্টার স্থাপন করুন।
- টেলিভিশন এবং রেডিও বিজ্ঞাপন: টেলিভিশন এবং রেডিওতে প্রোডাক্টের বিজ্ঞাপন প্রচার করুন।
- ইভেন্ট এবং ট্রেড শো: বিভিন্ন ইভেন্ট এবং ট্রেড শোতে অংশগ্রহণ করে প্রোডাক্ট প্রদর্শন করুন।
- ডাইরেক্ট মেইল: গ্রাহকদের ঠিকানায় প্রোডাক্টের ব্রোশিওর এবং ক্যাটালগ পাঠান।
মার্কেটিং পরিকল্পনা ও স্ট্রাটেজি
প্রোডাক্ট মার্কেটিং সফল করতে হলে মার্কেটিং পরিকল্পনা ও স্ট্রাটেজি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। সঠিক পরিকল্পনা ও স্ট্রাটেজি ছাড়া প্রোডাক্টের সাফল্য নিশ্চিত করা কঠিন। পরিকল্পনা ও স্ট্রাটেজি কিভাবে তৈরি করবেন? নিচে বিস্তারিত আলোচনা করা হলো।
প্ল্যানিং স্টেপস
প্রোডাক্ট মার্কেটিংয়ের জন্য সঠিক পরিকল্পনা প্রয়োজন। প্রথমে, আপনার লক্ষ্য বাজার চিহ্নিত করুন। এরপর, বাজারের প্রয়োজনীয়তা ও চাহিদা বুঝুন।
এতে আপনার প্রোডাক্টের মূল্য প্রস্তাব তৈরি করতে পারবেন। পরবর্তীতে, বাজেট নির্ধারণ করুন। বাজেটের ভেতরে থেকে কার্যকর পরিকল্পনা তৈরি করুন।
স্ট্রাটেজি ডেভেলপমেন্ট
পরিকল্পনার পর আসে স্ট্রাটেজি ডেভেলপমেন্ট। প্রথমে, বাজার গবেষণা করুন। আপনার প্রতিযোগীদের স্ট্রাটেজি বিশ্লেষণ করুন।
এরপর, ব্র্যান্ড পজিশনিং নির্ধারণ করুন। কাস্টমারদের সাথে সম্পর্ক স্থাপন করুন।
সামাজিক মাধ্যম, ইমেইল মার্কেটিং, কন্টেন্ট মার্কেটিং ইত্যাদি চ্যানেল ব্যবহার করুন।
মার্কেটিং পরিকল্পনা ও স্ট্রাটেজির প্রয়োজনীয় বিষয়গুলো সংক্ষেপে নিচে উল্লেখ করা হলো:
পরিকল্পনা | স্ট্রাটেজি |
---|---|
লক্ষ্য বাজার চিহ্নিতকরণ | বাজার গবেষণা |
বাজারের চাহিদা বোঝা | প্রতিযোগী বিশ্লেষণ |
মূল্য প্রস্তাব তৈরি | ব্র্যান্ড পজিশনিং |
বাজেট নির্ধারণ | কাস্টমার সম্পর্ক |
এই পরিকল্পনা ও স্ট্রাটেজি অনুসরণ করলে প্রোডাক্ট মার্কেটিং সাফল্যের সম্ভাবনা বাড়বে।
Credit: www.instagram.com
ফলাফল পরিমাপ ও বিশ্লেষণ
প্রোডাক্ট মার্কেটিং করার পরে, সফলতার জন্য ফলাফল পরিমাপ ও বিশ্লেষণ গুরুত্বপূর্ণ। এই প্রক্রিয়াটি প্রোডাক্টের পারফরম্যান্স বুঝতে সাহায্য করে। এটি কৌশল উন্নত করতে সহায়ক। নিচে মেট্রিক্স ও কেপিআই এবং ডেটা বিশ্লেষণ সম্পর্কে আলোচনা করা হলো:
মেট্রিক্স ও কেপিআই
প্রোডাক্ট মার্কেটিংয়ে সফলতা মাপার জন্য বিভিন্ন মেট্রিক্স ও কেপিআই (কী পারফরম্যান্স ইন্ডিকেটর) ব্যবহার করা হয়। কিছু প্রধান মেট্রিক্স ও কেপিআই হলো:
- কাস্টমার একুইজিশন কস্ট (CAC): নতুন কাস্টমার অর্জনের খরচ।
- লাইফটাইম ভ্যালু (LTV): প্রতিটি কাস্টমারের থেকে আয়।
- রিটার্ন অন ইনভেস্টমেন্ট (ROI): বিনিয়োগের উপর আয়।
- কনভারশন রেট: ভিজিটর থেকে কাস্টমারে রূপান্তর হার।
- কাস্টমার রিটেনশন রেট: কাস্টমার ধরে রাখার হার।
ডেটা বিশ্লেষণ
মেট্রিক্স ও কেপিআই থেকে পাওয়া ডেটা বিশ্লেষণ করা গুরুত্বপূর্ণ। এটি প্রোডাক্ট মার্কেটিং স্ট্রাটেজি উন্নত করতে সাহায্য করে। কিছু প্রধান ডেটা বিশ্লেষণের ধাপ হলো:
- ডেটা সংগ্রহ: বিভিন্ন সোর্স থেকে ডেটা সংগ্রহ করা।
- ডেটা ক্লিনিং: ডেটা পরিষ্কার ও সংগঠিত করা।
- ডেটা ভিজুয়ালাইজেশন: ডেটা ভিজুয়ালাইজ করে প্যাটার্ন ও ট্রেন্ড চিন্হিত করা।
- ডেটা ইন্টারপ্রিটেশন: ডেটা বিশ্লেষণ করে সিদ্ধান্ত নেওয়া।
ডেটা বিশ্লেষণের মাধ্যমে প্রোডাক্ট মার্কেটিংয়ের সফলতা নির্ধারণ করা যায়। এটি ভবিষ্যতের কৌশল উন্নত করতে সাহায্য করে।
Frequently Asked Questions
প্রোডাক্ট মার্কেটিং কি?
প্রোডাক্ট মার্কেটিং হলো একটি প্রোডাক্টের বাজারে প্রচার এবং বিক্রি বৃদ্ধির প্রক্রিয়া। এটি প্রোডাক্টের গুণমান, সুবিধা এবং প্রয়োজনীয়তা সম্পর্কে গ্রাহকদের সচেতন করে।
প্রোডাক্ট মার্কেটিং কেন গুরুত্বপূর্ণ?
প্রোডাক্ট মার্কেটিং প্রোডাক্টের সঠিক বাজার নির্ধারণ করতে সাহায্য করে। এটি প্রোডাক্টের বিক্রি ও জনপ্রিয়তা বাড়ায় এবং ব্যবসার প্রবৃদ্ধি নিশ্চিত করে।
প্রোডাক্ট মার্কেটিং কিভাবে শুরু করবো?
প্রথমে বাজার গবেষণা করুন এবং লক্ষ্য গ্রাহকদের নির্ধারণ করুন। তারপর প্রোডাক্টের সুবিধা ও বৈশিষ্ট্য তুলে ধরুন এবং কার্যকর মার্কেটিং পরিকল্পনা তৈরি করুন।
প্রোডাক্ট মার্কেটিংয়ের প্রধান ধাপগুলি কি?
প্রথমে প্রোডাক্টের লক্ষ্য নির্ধারণ করুন। তারপর বাজার বিশ্লেষণ করুন, লক্ষ্য গ্রাহক নির্ধারণ করুন, এবং কার্যকর মার্কেটিং কৌশল গ্রহণ করুন।
Conclusion
প্রোডাক্ট মার্কেটিং একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। সফল হতে হলে সঠিক পরিকল্পনা প্রয়োজন। জানতে হবে কাস্টমারের চাহিদা। প্রতিযোগীদের পর্যবেক্ষণ করতে হবে। সঠিক চ্যানেল বেছে নিতে হবে। ক্রেতার সাথে সম্পর্ক গড়তে হবে। মার্কেটিং কৌশল নিয়মিত পরিবর্তন করতে হবে। ভালো মার্কেটিং মানেই ব্যবসার উন্নতি। সঠিক মার্কেটিং আপনার ব্যবসার বৃদ্ধি নিশ্চিত করবে। সফল প্রোডাক্ট মার্কেটিং করতে হলে আপনাকে সবসময় সচেতন থাকতে হবে। মার্কেটিং দক্ষতা বাড়াতে হবে। সহজ উপায়ে প্রোডাক্ট মার্কেটিং করার চেষ্টা করুন।