অন পেজ এসইও তে কি কি করতে হয়? এই প্রশ্নের উত্তরে, অন পেজ এসইও একটি ওয়েবসাইটের বিভিন্ন উপাদান এবং কনটেন্ট অপটিমাইজ করার প্রক্রিয়া। এর মাধ্যমে সার্চ ইঞ্জিন র্যাংকিং উন্নত হয়। অন পেজ এসইও খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এটি আপনার ওয়েবসাইটকে সার্চ ইঞ্জিনে ভাল র্যাঙ্ক পেতে সাহায্য করে। এসইও’র মাধ্যমে আপনি আপনার ওয়েবসাইটের কনটেন্ট, ইমেজ, ট্যাগ, মেটা ডেসক্রিপশন ইত্যাদি ঠিকভাবে অপটিমাইজ করতে পারেন। এই ব্লগে, আমরা জানবো অন পেজ এসইও’র মূল দিকগুলো। আপনি কীভাবে এগুলো ব্যবহার করতে পারেন, তা বিস্তারিত আলোচনা করবো। এসইও’র এই পদ্ধতিগুলো আপনাকে শিখতে সাহায্য করবে কীভাবে আপনার ওয়েবসাইটকে সার্চ ইঞ্জিনের প্রথম পাতায় আনতে হয়। তাই, এই ব্লগটি পড়ে আপনি অন পেজ এসইও সম্পর্কে পরিষ্কার ধারণা পাবেন।
অন পেজ এসইও কি
অন পেজ এসইও কি? অনেকেই হয়ত এই প্রশ্নটি করেন। সহজ ভাষায় বলতে গেলে, অন পেজ এসইও হল এমন একটি প্রক্রিয়া যা একটি ওয়েব পেজের অভ্যন্তরে সম্পন্ন করা হয়। এর মাধ্যমে ওয়েব পেজটি সার্চ ইঞ্জিন এবং ব্যবহারকারীর জন্য অপ্টিমাইজড করা হয়। এই প্রক্রিয়ায় কন্টেন্ট, HTML সোর্স কোড এবং অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ বিষয় অন্তর্ভুক্ত থাকে। অন পেজ এসইও এর লক্ষ্য হল সার্চ ইঞ্জিনে ওয়েব পেজের র্যাঙ্কিং উন্নত করা।
পরিচিতি
অন পেজ এসইও এর পরিচিতি বুঝতে হলে প্রথমেই জানতে হবে এর মূল উপাদানগুলি। কন্টেন্ট অপ্টিমাইজেশন, কিওয়ার্ড ব্যবহার, মেটা ট্যাগস, হেডিং ট্যাগস এবং ইমেজ অপ্টিমাইজেশন এর মধ্যে অন্যতম। কন্টেন্টের মান এবং প্রাসঙ্গিকতা, কিওয়ার্ডের সঠিক স্থান নির্বাচন, মেটা ট্যাগসের স্পষ্টতা সবই অন পেজ এসইও এর অংশ। এগুলি সার্চ ইঞ্জিনের জন্য ওয়েব পেজটিকে আরও সহজবোধ্য এবং কার্যকরী করে তোলে।
গুরুত্ব
অন পেজ এসইও এর গুরুত্ব অপরিসীম। একটি ওয়েব পেজের সার্চ ইঞ্জিন র্যাঙ্কিং উন্নত করতে এটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। সঠিক অন পেজ এসইও কৌশল ব্যবহার করে একটি ওয়েব পেজ সহজেই সার্চ ইঞ্জিনের শীর্ষে উঠতে পারে। এটি ওয়েবসাইটের ট্রাফিক বৃদ্ধি করে এবং ব্যবহারকারীর অভিজ্ঞতা উন্নত করে। এছাড়া, অন পেজ এসইও কৌশলগুলি ওয়েবসাইটের কন্টেন্টকে আরও প্রাসঙ্গিক এবং মানসম্মত করে তোলে।
Credit: pathokbd.com
কীওয়ার্ড গবেষণা
অন পেজ এসইও এর মূল অংশ হলো কীওয়ার্ড গবেষণা। সঠিক কীওয়ার্ড নির্বাচন ও ব্যবহার ওয়েবসাইটের সার্চ ইঞ্জিন র্যাঙ্কিং বাড়াতে সাহায্য করে। এটি এক প্রকার প্রাথমিক ধাপ, যা ওয়েবসাইটে ট্রাফিক বাড়াতে সহায়ক।
প্রাথমিক ধাপ
কীওয়ার্ড গবেষণার প্রথম ধাপে, আপনার লক্ষ্য দর্শকদের চাহিদা বুঝতে হবে। কী ধরণের বিষয়বস্তু তারা অনুসন্ধান করছে তা নির্ধারণ করা জরুরি। এ জন্য কিছু সহজ ধাপ অনুসরণ করতে হবে:
- বাজার বিশ্লেষণ: আপনার ব্যবসার সম্পর্কিত বাজার সম্পর্কে গবেষণা করুন।
- প্রতিযোগী বিশ্লেষণ: প্রতিযোগীদের কীওয়ার্ড ও কৌশল বিশ্লেষণ করুন।
- কীওয়ার্ডের তালিকা: সম্ভাব্য কীওয়ার্ডের একটি তালিকা তৈরি করুন।
সেরা সরঞ্জাম
কীওয়ার্ড গবেষণার জন্য বিভিন্ন সরঞ্জাম রয়েছে যা আপনাকে সঠিক কীওয়ার্ড খুঁজে পেতে সাহায্য করবে। নিচে কিছু জনপ্রিয় সরঞ্জামের তালিকা দেওয়া হলো:
সরঞ্জামের নাম | বৈশিষ্ট্য |
---|---|
Google Keyword Planner | বিনামূল্যে কীওয়ার্ড অনুসন্ধান ও বিশ্লেষণ করা যায়। |
Ahrefs | দৈনিক আপডেট ও বিশদ কীওয়ার্ড ডাটা প্রদান করে। |
SEMrush | প্রতিযোগী বিশ্লেষণ ও কীওয়ার্ড বিশ্লেষণ করা যায়। |
Ubersuggest | নতুন কীওয়ার্ড আইডিয়া ও বিশ্লেষণ করতে সহায়ক। |
শিরোনাম এবং মেটা বর্ণনা
অন পেজ এসইও তে শিরোনাম এবং মেটা বর্ণনা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। সঠিক শিরোনাম এবং আকর্ষণীয় মেটা বর্ণনা ব্যবহার করলে, আপনার ওয়েবসাইটের ক্লিক-থ্রু হার বৃদ্ধি পায়। ফলে সার্চ ইঞ্জিনে আপনার ওয়েবসাইটের স্থান উন্নত হয়।
উপযুক্ত শিরোনাম
শিরোনামটি ওয়েবসাইটের একটি প্রধান অংশ। এটি ব্যবহারকারীদের প্রথম নজরে আসে। তাই এটি হতে হবে স্পষ্ট, সংক্ষিপ্ত এবং কিওয়ার্ড সমৃদ্ধ। একটি ভালো শিরোনাম ওয়েবসাইটের বিষয়বস্তু বোঝায় এবং ব্যবহারকারীদের ক্লিক করতে উৎসাহিত করে। উদাহরণস্বরূপ, “অন পেজ এসইও তে করণীয়” একটি ভালো শিরোনাম হতে পারে।
আকর্ষণীয় মেটা বর্ণনা
মেটা বর্ণনা হল সার্চ ইঞ্জিন রেজাল্টে প্রদর্শিত একটি সংক্ষিপ্ত বিবরণ। এটি ওয়েবসাইটের বিষয়বস্তু সম্পর্কে সংক্ষেপে জানায়। মেটা বর্ণনা আকর্ষণীয় হলে ব্যবহারকারীরা ক্লিক করতে আগ্রহী হয়। এটি হতে হবে ১৫০-১৬০ শব্দের মধ্যে এবং কিওয়ার্ড থাকতে হবে। উদাহরণস্বরূপ, “এই পোস্টে অন পেজ এসইও এর গুরুত্বপূর্ণ দিকগুলি আলোচনা করা হয়েছে”।
Credit: www.facebook.com
ইউআরএল গঠন
অন পেজ এসইও তে ইউআরএল গঠন একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। আপনার ওয়েবসাইটের ইউআরএল গঠন যত ভালো হবে, সার্চ ইঞ্জিনে আপনার সাইট তত ভালো পারফর্ম করবে। ইউআরএল গঠনের মাধ্যমে আপনি সার্চ ইঞ্জিন এবং ব্যবহারকারীদের জন্য আপনার কন্টেন্টকে আরো পরিষ্কার এবং সহজবোধ্য করে তুলতে পারেন। নিচে ইউআরএল গঠনের দুইটি প্রধান অংশ নিয়ে আলোচনা করা হলো।
সংক্ষিপ্ত ইউআরএল
সংক্ষিপ্ত ইউআরএল ব্যবহার করা উচিত। লম্বা ইউআরএল গুলি প্রায়ই ঝামেলার সৃষ্টি করে। সংক্ষিপ্ত ইউআরএল গুলি সহজে পড়া এবং মনে রাখা যায়। সংক্ষিপ্ত ইউআরএল ব্যবহারকারীদের জন্য আরও সুবিধাজনক। এটি সার্চ ইঞ্জিনেও ভালো পারফর্ম করে। উদাহরণস্বরূপ, “example.com/short-url” এর চেয়ে “example.com/this-is-a-very-long-url” কম আকর্ষণীয়।
কীওয়ার্ড অন্তর্ভুক্তি
ইউআরএল গঠনে কীওয়ার্ড অন্তর্ভুক্ত করা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এটি সার্চ ইঞ্জিনে র্যাঙ্ক বাড়াতে সাহায্য করে। কীওয়ার্ড অন্তর্ভুক্ত করা ইউআরএল গুলি সহজে সার্চ ইঞ্জিনে পাওয়া যায়। উদাহরণস্বরূপ, আপনার পোস্ট যদি অন পেজ এসইও সম্পর্কে হয়, তাহলে ইউআরএল এ “on-page-seo” কীওয়ার্ড অন্তর্ভুক্ত করুন। এটি ইউআরএল গঠনকে আরও প্রাসঙ্গিক এবং কার্যকরী করে তোলে।
হেডিং ট্যাগ ব্যবহার
অন পেজ এসইও তে ভালো ফলাফল পেতে হেডিং ট্যাগ এর সঠিক ব্যবহার খুবই গুরুত্বপূর্ণ। হেডিং ট্যাগ ব্যবহার করলে কনটেন্ট পাঠকদের জন্য সহজে পড়া এবং বোঝা যায়। এছাড়া, সার্চ ইঞ্জিনের জন্যও এটি কনটেন্টের গঠন বুঝতে সাহায্য করে।
সঠিক হেডিং ট্যাগ
প্রতিটি কনটেন্টে সঠিক হেডিং ট্যাগ ব্যবহার করা প্রয়োজন। মূলত, H1 থেকে H6 পর্যন্ত হেডিং ট্যাগ থাকে। H1 ট্যাগটি সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ এবং এটি পেজের প্রধান শিরোনাম হিসাবে ব্যবহৃত হয়।
H2 ট্যাগটি সাবহেডিং হিসাবে ব্যবহৃত হয়, যা প্রধান শিরোনামের অধীনে আসে। H3 এবং এর পরবর্তী হেডিংগুলো আরও নির্দিষ্ট সাবহেডিং হিসাবে ব্যবহৃত হয়।
হেডিং ট্যাগ | ব্যবহার |
---|---|
H1 | প্রধান শিরোনাম |
H2 | সাবহেডিং |
H3 | উপ-সাবহেডিং |
গুরুত্বপূর্ণ কীওয়ার্ড
গুরুত্বপূর্ণ কীওয়ার্ড হেডিং ট্যাগে অন্তর্ভুক্ত করা প্রয়োজন। এটি সার্চ ইঞ্জিনকে কনটেন্টের মূল বিষয়বস্তু বুঝতে সাহায্য করে।
উদাহরণস্বরূপ, আপনার কনটেন্ট যদি “অন পেজ এসইও” নিয়ে হয়, তবে “অন পেজ এসইও” কীওয়ার্ডটি H1 ট্যাগে অন্তর্ভুক্ত করুন। এছাড়া, অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ কীওয়ার্ডগুলো H2 এবং H3 ট্যাগে ব্যবহার করুন।
- H1: অন পেজ এসইও গাইড
- H2: অন পেজ এসইও টেকনিক
- H3: হেডিং ট্যাগ ব্যবহার
কীওয়ার্ড সর্তকভাবে ব্যবহার করুন। বেশি কীওয়ার্ড ব্যাবহার করলে কনটেন্ট অপ্রাকৃত মনে হতে পারে।
কন্টেন্ট অপ্টিমাইজেশন
অন পেজ এসইও তে কন্টেন্ট অপ্টিমাইজেশন একটি গুরুত্বপূর্ণ ধাপ। এটি আপনার ওয়েবসাইটের তথ্যকে সার্চ ইঞ্জিন ও ব্যবহারকারীদের জন্য সহজলভ্য করে তোলে। কন্টেন্ট অপ্টিমাইজেশন সঠিকভাবে না করা হলে আপনার ওয়েবসাইট সার্চ ইঞ্জিনের প্রথম পাতায় আসবে না। এতে আপনার ওয়েবসাইটের ভিজিটর সংখ্যা কমে যাবে।
গুণগত মান
কন্টেন্টের গুণগত মান অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। আপনার কন্টেন্ট হতে হবে আকর্ষণীয় ও তথ্যবহুল। পাঠকের প্রয়োজনীয়তা ও আগ্রহ অনুযায়ী কন্টেন্ট তৈরি করুন। সহজ ভাষায় লিখুন, যাতে সবাই বুঝতে পারে।
মূল্যবান তথ্য
মূল্যবান তথ্য প্রদান করুন। আপনার কন্টেন্টে সঠিক ও প্রাসঙ্গিক তথ্য থাকতে হবে। তথ্যবহুল কন্টেন্ট পাঠককে আকর্ষণ করে। এতে আপনার ওয়েবসাইটের ট্রাফিক বাড়ে।
ইমেজ অপ্টিমাইজেশন
ইমেজ অপ্টিমাইজেশন অন পেজ এসইওর একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ। এটি ওয়েবসাইটের লোডিং সময় কমায় এবং সার্চ ইঞ্জিনে ভালো র্যাংক পেতে সাহায্য করে। ইমেজ অপ্টিমাইজেশনের মাধ্যমে আপনি আপনার ওয়েবসাইটের পারফরম্যান্স বৃদ্ধি করতে পারেন। নিচে আমরা আল্ট ট্যাগ এবং ইমেজ কম্প্রেশন সম্পর্কে আলোচনা করবো।
আল্ট ট্যাগ
আল্ট ট্যাগ ইমেজ অপ্টিমাইজেশনের একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ। এটি সার্চ ইঞ্জিনকে ইমেজ সম্পর্কে বোঝাতে সাহায্য করে। আল্ট ট্যাগে সংক্ষিপ্ত এবং প্রাসঙ্গিক বর্ণনা ব্যবহার করুন। এতে ইমেজটি সার্চ ইঞ্জিনে সহজে খুঁজে পাওয়া যাবে। ব্যবহারকারীদের জন্যও এটি উপকারী। কারণ, ইমেজ লোড না হলে তারা আল্ট ট্যাগের মাধ্যমে ইমেজ সম্পর্কে জানতে পারে।
ইমেজ কম্প্রেশন
ইমেজ কম্প্রেশন ওয়েবসাইটের লোডিং সময় কমাতে সাহায্য করে। বড় সাইজের ইমেজ ওয়েবসাইটের লোডিং সময় বৃদ্ধি করে। ইমেজ কম্প্রেশনের মাধ্যমে ইমেজের সাইজ ছোট করা যায়। বিভিন্ন ইমেজ কম্প্রেশন টুল ব্যবহার করে আপনি সহজেই ইমেজের সাইজ কমাতে পারেন। ইমেজের গুণমান বজায় রেখে সাইজ কমাতে হবে। এতে ওয়েবসাইটের পারফরম্যান্স ভালো থাকবে।
অভ্যন্তরীণ সংযোগ
অন পেজ এসইও (On-Page SEO) এর মধ্যে অভ্যন্তরীণ সংযোগ (Internal Linking) একটি গুরুত্বপূর্ণ উপাদান। এটি আপনার ওয়েবসাইটের বিভিন্ন পৃষ্ঠার মধ্যে সংযোগ স্থাপন করে, যা ব্যবহারকারীদের জন্য নেভিগেশন সহজ করে এবং সার্চ ইঞ্জিনগুলির কাছে আপনার কন্টেন্টের গুরুত্ব বাড়ায়। নিচে অভ্যন্তরীণ সংযোগের কিছু গুরুত্বপূর্ণ দিক আলোচনা করা হল।
প্রাসঙ্গিক লিঙ্ক
প্রাসঙ্গিক লিঙ্ক তৈরি করতে হলে আপনাকে নিশ্চিত করতে হবে যে লিঙ্কটি আপনার পেজের বিষয়বস্তুর সাথে সম্পর্কিত। উদাহরণস্বরূপ, যদি আপনার পেজে ব্লগ পোস্ট থাকে ‘অন পেজ এসইও’ বিষয়ে, তাহলে আপনি সেই পোস্টে ‘এসইও টুলস’ সম্পর্কে অন্য একটি পোস্টের লিঙ্ক যুক্ত করতে পারেন। এটি ব্যবহারকারীদের জন্য তথ্যপূর্ণ এবং সহায়ক হবে।
নেভিগেশনের উন্নতি
সঠিক অভ্যন্তরীণ সংযোগ ব্যবহার করলে আপনার ওয়েবসাইটের নেভিগেশন সিস্টেম অনেক সহজ হয়ে যায়। নিচে একটি টেবিল দেওয়া হল:
নেভিগেশন উপায় | বিবরণ |
---|---|
প্রধান মেনু | ওয়েবসাইটের প্রধান পৃষ্ঠাগুলির লিঙ্ক থাকে |
সাইডবার | বিভিন্ন বিভাগ বা জনপ্রিয় পোস্টের লিঙ্ক থাকে |
ফুটার | গোপনীয়তা নীতি, শর্তাবলী ইত্যাদির লিঙ্ক থাকে |
প্রতিটি বিভাগে অভ্যন্তরীণ লিঙ্কের সঠিক ব্যবহার আপনার ওয়েবসাইটের নেভিগেশন উন্নত করে এবং ব্যবহারকারীদের অভিজ্ঞতা বৃদ্ধি করে।
মোবাইল বন্ধুত্বপূর্ণ
মোবাইল বন্ধুত্বপূর্ণ ওয়েবসাইট তৈরি করা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। বর্তমান সময়ে অধিকাংশ ব্যবহারকারী মোবাইল ডিভাইস ব্যবহার করে ইন্টারনেট ব্রাউজ করেন। তাই, আপনার ওয়েবসাইট মোবাইল বন্ধুত্বপূর্ণ না হলে আপনি অনেক ভিজিটর হারাতে পারেন। অন পেজ এসইও তে মোবাইল বন্ধুত্বপূর্ণতা নিশ্চিত করা অত্যন্ত জরুরি।
রেসপন্সিভ ডিজাইন
রেসপন্সিভ ডিজাইন আপনার ওয়েবসাইটকে যেকোনো ডিভাইসে সুন্দরভাবে প্রদর্শিত হতে সাহায্য করে। এটি নিশ্চিত করে যে, আপনার ওয়েবসাইট মোবাইল, ট্যাবলেট এবং ডেস্কটপে একরকম ভালোভাবে দেখা যাবে। রেসপন্সিভ ডিজাইন ব্যবহার করলে ব্যবহারকারীর অভিজ্ঞতা উন্নত হয়। তাদের ওয়েবপেজ দেখার জন্য স্ক্রল বা জুম করতে হয় না।
পেজ লোড স্পিড
পেজ লোড স্পিড একটি গুরুত্বপূর্ণ ফ্যাক্টর। ধীরগতির ওয়েবসাইট ব্যবহারকারীদের বিরক্ত করে। মোবাইল ব্যবহারকারীরা দ্রুত পেজ লোড আশা করে। তাই, আপনার ওয়েবসাইটের পেজ লোড স্পিড বাড়াতে হবে। ইমেজ অপটিমাইজ করুন। মিনি ফাই CSS এবং জাভাস্ক্রিপ্ট ফাইল। দ্রুত সার্ভার ব্যবহার করুন।
Credit: shamimhossin.com
অ্যানালিটিক্স এবং ট্র্যাকিং
অন পেজ এসইও এর একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ হলো অ্যানালিটিক্স এবং ট্র্যাকিং। এটি ওয়েবসাইটের পারফরমেন্স পর্যালোচনা করে। এটি সাহায্য করে এসইও কৌশল উন্নত করতে। অ্যানালিটিক্স টুল ব্যবহার করে জানতে পারবেন কিভাবে ভিজিটররা আপনার ওয়েবসাইট ব্যবহার করছে। এতে বুঝতে পারবেন কোন পেজগুলো ভালো পারফর্ম করছে এবং কোথায় উন্নতির প্রয়োজন।
গুগল অ্যানালিটিক্স
গুগল অ্যানালিটিক্স একটি শক্তিশালী টুল। এটি ওয়েবসাইটের ট্রাফিক বিশ্লেষণ করে। এটি বিনামূল্যে পাওয়া যায়। এটি ব্যবহার করে জানতে পারবেন কিভাবে ভিজিটররা আপনার সাইটে আসছে। কনটেন্ট কোনটি বেশি জনপ্রিয় তা জানতে পারবেন। এতে সহজেই বুঝতে পারবেন কোন পেজগুলো উন্নতির প্রয়োজন।
মূল্যায়ন এবং উন্নতি
অ্যানালিটিক্স থেকে প্রাপ্ত ডেটা বিশ্লেষণ করে ওয়েবসাইটের উন্নতি করতে হবে। কনটেন্ট আপডেট করতে হবে যাতে আরও ভিজিটর আকৃষ্ট হয়। পেজ লোড টাইম কমাতে হবে। ইউজার ইন্টারফেস উন্নত করতে হবে। কিওয়ার্ড অপ্টিমাইজেশন করতে হবে। এসইও কৌশল নিয়মিত মূল্যায়ন করতে হবে। এতে আপনার ওয়েবসাইটের পারফরমেন্স বাড়বে।
Frequently Asked Questions
অন পেজ এসইও কি?
অন পেজ এসইও হল ওয়েবসাইটের পৃষ্ঠার উন্নতি করা। এর মধ্যে কন্টেন্ট, মেটা ট্যাগ, ইউআরএল এবং হেডিং অপ্টিমাইজেশন অন্তর্ভুক্ত।
কন্টেন্ট অপ্টিমাইজেশন কিভাবে করা হয়?
কন্টেন্ট অপ্টিমাইজেশনে মূল শব্দগুলি সঠিকভাবে ব্যবহার করা হয়। এটি পাঠকের জন্য আকর্ষণীয় ও তথ্যপূর্ণ হতে হবে।
কীওয়ার্ড কীভাবে বেছে নেওয়া হয়?
কীওয়ার্ড বাছাই করার জন্য কীওয়ার্ড রিসার্চ টুল ব্যবহার করা হয়। এটি সঠিক শব্দগুলি খুঁজে পেতে সহায়ক।
মেটা ট্যাগ কী?
মেটা ট্যাগ হল HTML ট্যাগ যা সার্চ ইঞ্জিনকে পৃষ্ঠার বিষয়বস্তু সম্পর্কে জানায়। এটি এসইওর জন্য গুরুত্বপূর্ণ।
Conclusion
অন পেজ এসইওতে সঠিকভাবে কাজ করলে সাইটের র্যাঙ্ক বাড়বে। কনটেন্ট হতে হবে ইউনিক এবং আকর্ষণীয়। টাইটেল এবং মেটা ডিসক্রিপশন গুরুত্বপূর্ণ। কিওয়ার্ড ব্যবহার করতে হবে সঠিকভাবে। ইমেজ অপটিমাইজেশনও জরুরি। ইউজার ফ্রেন্ডলি ইউআরএল গঠন করো। অভ্যন্তরীণ লিঙ্কিং বাড়াবে ভিজিটরদের সময়। দ্রুত লোডিং সাইট তৈরি করো। সব মিলিয়ে, অন পেজ এসইও সঠিকভাবে করলে সাইটের ভিজিটর বাড়বে।